নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ চায়না ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (বিসিয়াইটি) সার্বিক তত্ত্বাবধানে যৌথভাবে চীনের লানজু জিয়াতং বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ প্রথম বারের মত চালু করতে যাচ্ছে পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর ৪ বছর মেয়াদি উচ্চতর ডিগ্রি কোর্স। স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিকাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রোনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আওতায় শুরু হওয়া এই কোর্সে অংশগ্রহন করা শিক্ষার্থীরা প্রথম ২ বছর স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং পরের ২ বছর চিনের লানজু জিয়াতং বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা গ্রহনের সুযোগ পাবে।
গতকাল সোমবার (৬ নভেম্বর) স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বিদ্ধেশ্বরী ক্যাম্পাসের অডিটরিয়ামে এই বিষয়ে চুক্তি সই করেন, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মাদ আলী নকী এবং চীনের লানজু জিয়াতং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ইয়াং জিজিয়াং।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, চীনের গানসু প্রদেশের পররাষ্ট্র বিষয়ক ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল ইয়াং ইয়াংগং, বিসিআইটি’র চেয়ারম্যান মাসুম এম. মহসিন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক চার্লি চ এবং পরিচালক (অপারেশন) প্রবীর কুমার বড়ুয়া সহ স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিকাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রোনক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রায় সকল শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ।
স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নতুন চালু হতে যাওয়া দেশের প্রথম পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগটি সম্মন্ধে বলেন, এই বিভাগটির পাঠ্য তালিকা থেকে শুরু করে প্রায় সকল কিছুই নতুন আঙ্গিকে কঠোর পরিকল্পনা মাফিক করা হবে। শিক্ষা ব্যবস্থা হবে আউটকাম ভিত্তিক অর্থাৎ বিভিন্ন ধরণের প্রতিষ্ঠান কি ধরণের দক্ষ জনবল চায় তার উপর ভিত্তি করেই শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলা হবে। আর যেহেতু আমাদের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের পাশাপাশি চায়নাতেও পড়ালেখা করবে, সেহেতু তারা নিঃসন্দেহে বিশ্ব-মানের হবে।
পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং প্রসঙ্গে বিসিআইটি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক চার্লি চ জানান, দ্রুত বিকাশমান বাংলাদেশের পাওয়ার সেক্টরে চাহিদা থাকা সত্ত্বেও রয়েছে দক্ষ পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারের স্বল্পতা। আর সে চাহিদা পূরনে সরাসরি চীনের অভিজ্ঞ শিক্ষক দ্বারা পরিচালিত হবে এ বিভাগ।
বিসিআইটি’র চেয়ারম্যান মাসুম এম. মহসিন বলেন, বর্তমানে দেশে সরকারি এবং বেসরকারি বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এসব প্রতিষ্ঠানে প্রচুর পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারের চাহিদা রয়েছে। অতএব, এই ডিগ্রি অর্জনের পর দেশের পাওয়ার সেক্টরে কাজ করার অফুরান সম্ভাবনার পাশাপাশি বিশ্ববাজারেও রয়েছে চাকরি করার বিশেষ সুযোগ।
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছেরের প্রথম দিকেই চালু হতে পারে দেশের সর্ব প্রথম পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগটি।